৭৫. আল ক্বিয়ামাহ

মোট আয়াতঃ ৪০ টি নাযিলের স্থানঃ মক্কানাযিলের ক্রমঃ ৩১পারাঃ ২৯

১. আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের,
২. আরও শপথ করি সেই আত্মার, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়।
৩. মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারব না?
৪. অবশ্যই, আমি তার আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
৫. বরং মানুষ তার আগামীতেও ধৃষ্টতা করতে চায়।
৬. সে প্রশ্ন করে, ‘কিয়ামতের দিন কবে আসবে?’
৭. যখন চোখ স্থির হয়ে যাবে,
৮. আর চাঁদ হয়ে যাবে আলোকহীন,
৯. আর যখন সূর্য ও চাঁদকে একত্র করা হবে।
১০. সেদিন মানুষ বলবে, ‘আজ পালানোর জায়গা কোথায়?’
১১. মোটেই না, আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই।
১২. সেদিন ঠাঁই হবে তোমার রবেরই কাছে।
১৩. সেদিন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হবে, কী সে সামনে পাঠিয়েছে আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছে।
১৪. বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চাক্ষুসভাবে অবগত।
১৫. যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে।
১৬. তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।
১৭. নিশ্চয় এর সংরক্ষণ ও পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই।
১৮. কাজেই আমি যখন তা পাঠ করি, তখন তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর।
১৯. অতঃপর তা ব্যাখ্যা করা নিশ্চিতভাবে আমারই দায়িত্ব।
২০. কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালোবাস
২১. এবং আখিরাতকে উপেক্ষা কর।
২২. সেদিন কতকগুলো মুখ হবে উজ্জ্বল,
২৩. তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
২৪. আর কতকগুলো মুখ সেইদিন বিবর্ণ হয়ে যাবে,
২৫. তারা আশংকা করবে যে, এক বিপর্যয় তাদের উপরে পড়তে যাচ্ছে।
২৬. কক্ষনো নয়, প্রাণ যখন কণ্ঠে এসে পৌঁছবে,
২৭. তখন বলা হবে, ঝাড়ফুঁক দেয়ার কেউ আছে কি?
২৮. আর সে বুঝতে পারে যে, এ হচ্ছে বিদায় বেলা,
২৯. আর পায়ের গোছার সংগে পায়ের গোছা জড়িয়ে যাবে।
৩০. সেদিন তোমার রবের দিকেই যাত্রা হবে।
৩১. সে বিশ্বাসও করেনি এবং সালাতও আদায় করেনি,
৩২. বরং সে মিথ্যারোপ করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
৩৩. অতঃপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছে।
৩৪. দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ!
৩৫. তারপরও দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!
৩৬. মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?
৩৭. সে কি নিক্ষিপ্ত শুক্রবিন্দু ছিল না?
৩৮. তারপর সে হল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে আকৃতি দান করলেন ও পূর্ণাঙ্গ করলেন।
৩৯. অতঃপর তা থেকে তিনি সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী।
৪০. তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন?

সূরার তালিকা

কুরআনে খুঁজুন

অথবা